আরাফাত দিনটি হলো মর্যাদাসম্পন্ন একটি দিন। জিলহজ মাসের নবম তারিখকে আরাফাত দিবস বলা হয়। আল্লাহ তাআ’লা এই দিনে রোজা রাখলে ২ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন সামনের আর পেছনের। এই দিন অনেক অনেক মর্যাদা পূর্ণ দিন। আল্লাহ তাআ’লা কাছে যা ছাওয়া হয় সকল কিছু দিয়ে তাকেন। জীবনের সকল গুনাহ মাপ করে দিবেন।

আরাফার দিনের ফজিলত :

আরাফাত দিনের ফজিলত রয়েছে অনেক অনেক বেশি । সকল গুনাহ মাপ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করে তাকে। আল্লাহ তাআ’লা সকল গুনাহ থেকে দুরে রাখেন এবং আল্লাহ তাআ’লা এবাদত করতে ভালো লাগে। আল্লাহ তাআ’লা বন্ধাকে ডাকেন তর কি কি সমস্যা বল আমার কাছে সব কিছু দিতে রাজি।  আমরা সকল কিছু আল্লাহ তাআলা কাছে ছায়ব এবং সকল কিছুর মালিক তিনি।

নিচে আলোচনা করা হলো :

ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ, বিশ্ব মুসলিমের প্রতি আল্লাহর নিয়ামতের পরিপূর্ণতা প্রাপ্তির দিন হলো এই আরাফার।

আল্লাহ তার বন্ধাকে ভালো দিকে ও কল্যানের জন্য ডাকে। আল্লাহ তাআ’লা সকল মানুষের ভালো দিকে ডাকতে তাকেন। বন্ধার ভুল গুলো টিক করার জন্য অনেক অনেক সুযোগ রেখেছেন আল্লাহ তাআ’লা। এর মধ্যে আরাফার দিন টা গুরুত্বপূর্ণ দিন।

সাহাবী আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ স. বলেন : আরাফার দিনের সওম আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফফারা হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন।

মুসলিম- ১১৬৩

অধিক পরিমাণে জিকির ও দোয়া করা

অধিক পরিমাণে জিকির করা ও কিন্তু অনেক ভালো। এটি আমল করতে ভালো লাগে মনটা অনেক ভালো হলো যায়।

নবী করিম স. বলেছেন :—

সবচেয়ে উত্তম দোয়া হল আরাফাহ দিবসের দোয়া। আর সর্বশ্রেষ্ঠ কথা যা আমি বলি ও নবীগণ বলেছেন, তাহলো :

 لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির) অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন মাবুদ নেই। তিনি একক তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই আর সকল প্রশংসা তারই প্রাপ্য, এবং তিনি সর্ব বিষয়ে শক্তিমান।

তিরমিজি- ২৮৩৭, মুয়াত্তা মালেক, হাদিসটি সহিহ

তাকবীর হল :

لله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।

 
 

আরাফাহ দিনে রোজা দু বছরের কাফ্ফারা সমান ও নেকি পাওয়া যায়:

 

আরাফাহ দিনে রোজা রাখা অনেক ফজিলত পূর্ণ। এই দিনে আল্লাহ তাআ’লা তার বন্ধাকে ক্ষমা ছায়তে বলেন। যা আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ সা: ও বলেছেন আরাফাত দিনে রোজা রাখার জন্য।

সাহাবী আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ স.-কে আরাফাহ দিবসের সাওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন : বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

মুসলিম-১১৬৩

গুনাহ মাফ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দিন আরাফাত দিন:

 

আল্লাহ তাআ’লা তার বন্ধা যতই গুনাহ করুক না কেন মাফ করে দেয় আল্লাহ তাআ’লা। কোন না কোন দিক ভালো তাকলেই সেটা উছিলায় ক্ষমা করে দেয় ।

আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ স. বলেন : আরাফার দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দার নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন : তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায় ?

মুসলিম-১৩৪৮

আরাফার রোজার নিয়ত টিক রমজান মাসের রোজার নিয়তের মতই আমরা রমজানের যে ভাবে দোয়া করু ঠিক তেমন ভাবে করলেই হবে,,, আলাদা কোন রোজার নিয়ত নাই

 

আরাফার রোজার নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা :-

সেহরি খাওয়ার পড় থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে পড়লেই সেটা আদায় হয়ে যাবে। আরাফার রোজার নিয়ত ঠিক ফরজ রোজার মতই নিয়ত করলেই হবে। আরাফার রোজার অনেক ফজিলত তু আছে। এই রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের সকল গুনাহ থেকে মাফ করে দেয়।

আরাফার রোজার নিয়ত বাংলা:

আমি আজ আরাফার রোজার  রাখার নিয়ত করলাম। এভাবে পড়লেই হয়ে যাবে। যারা আরবি পাড়েন তারা ঐটায় পড়ায় উত্তম।

নিয়ত মানে হলো কোন কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করাকে বুঝায়। নিয়ত শুধু মুখে বলতে হবে তা না,  মনে মনে বা ইচ্ছে করলেই আদায় হয়ে যাবে।  রোজার কোন সমস্যা হবে না।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)

তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

রোজার আরবি নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :

 নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ :

 হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

আল্লাহ তাআ’লা আরাফার রোজার মাধ্যমে আমাদের সুযোগ করে দিছেন যে আমাদের গুনাহ মাপ ও জাহান্নামে হাত থেকে রক্ষা করে জান্নাত বাসি করার জন। আল্লাহ তাআ’লা ও আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এই বন্ধার জনই সারাজীবন কষ্ট করেছেন।  আমাদের সকলের উপর শান্তি ও রহমত নাজিল হক আমিন।

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *