হজের রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ ও আরবি এবং ফজিলত

 হজ’ অর্থ মহৎ কাজের ইচ্ছে করা। নির্দিষ্ট দিনে আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ও কাবা শরিফ তাওয়াফ করা। এই দিন রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন যে, পিছনের ১ বছরের ও সামনের ১ বছরের গুনাহের মাফ করে দিবেন, মানে হলো ২ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। একটি রোজা রাখলে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ এই রোজা ও ফজিলত।

হজের রোজার ফজিলত:

হজের রোজার ফজিলত অনেক। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সা: এই দিনে রোজা রাখতেন। একটি রোজা রাখলে ২ বছরের গুনাহ আল্লাহ তাআ’লা মাফ করে দিবেন। রোজা আমল আল্লাহ কাছে অনেক সম্মানিত ও পছন্দ একটি আমল।

হজের দিনে রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা অনেক রহমত ও ফজিলত দেন। আল্লাহ তাআ’লা সকল ২ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়। নিয়ত টিক রেখে আল্লাহ কাছে কোন দোয়া করলে সকল দোয়া পূরণ করে দেন।

আল্লাহ তাআ’লা এই হজের রোজা রাখলে দুই বছরের গুনাহ মাফ করেন সেই দিন আমাদের সূত্র সয়তান সেই দিন অনেক কষ্ট ও আফসুস করতে তাকে সব গুনাহ মাপ করে দেওয়ার জন্য। হজের সময় আল্লাহ তাআ’লা সব শেষ আসমানে এসে প্রিয় বান্ধাদেরকে রহমত দিতে তাকেন। আর সয়তান কান্না মন খারাপ ও আফসোস করতে তাকেন।

 হজরত আবু কাতাদার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরাফার (হজের দিনের) রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আরাফার দিনের (হজের দিনের) রোজা পেছনে এক বছর এবং সামনের এক বছরের গোনাহের কাফফারা হবে। আর তাকে আশুরার রোজার কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিগত এক বছরের গোনাহের কাফফারা হবে।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)

হজরত কাতাদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আরাফাহ তথা হজের দিনের রোজা। আমি আল্লাহর কাছে আশা রাখি যে তিনি পেছনের এক বছরের গোনাহ এবং সামনের এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (মুসলিম)

হজের রোজার নিয়ত সম্পর্কে আলোচনা :-

সেহরি খাওয়ার পড় থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে পড়লেই সেটা আদায় হয়ে যাবে। হজের রোজার নিয়ত  ঠিক ফরজ রোজার মতই নিয়ত করলেই হবে। হজের রোজার অনেক ফজিলত তু আছে। এই রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা সকল মুসলমানদের সকল গুনাহ থেকে মাফ করে দেয়।

হজের রোজার নিয়ত বাংলা:

আমি আজ হজের রোজা রাখার নিয়ত করলাম। আল্লাহ তুমি আমার রোজা কবুল করুন। এভাবে পড়লেই হয়ে যাবে। যারা আরবি পাড়েন তারা ঐটায় পড়ায় উত্তম।

নিয়ত মানে হলো কোন কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করাকে বুঝায়। নিয়ত শুধু মুখে বলতে হবে তা না,  মনে মনে বা ইচ্ছে করলেই আদায় হয়ে যাবে।  রোজার কোন সমস্যা হবে না।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় হজের ও রমজানের রোজা সহ বাকি সকল রোজা রাখব আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)

তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

হজের দিনে রোজার নিয়ত এভাবেও পড়া যায়:

নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন ইয়াওমি আরাফা সুন্নত রাসুলিল্লাহি ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

হজের রোজার নিয়ত টিক রমজানের রোজার নিয়তের মতই, তাই রমজানের রোজার নিয়ত করলেই হয়ে যাবে।

রোজার আরবি নিয়ত:

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :

 নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।

রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ :

 হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

তাই আমরা জানতে পারলাম যে হজের  রোজার নিয়ত। আল্লাহ তাআ’লা রোজাদার ব্যক্তির সকল গুনাহ মাপ করে এবং যা ছায় তা দেয়। রোজা রাখলে আল্লাহ তাআ’লা অনেক নেকি পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে আমরা নফল রোজা রাখব আমিন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *