প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসে চাঁদের হিসাব রাখতে দিন গণনা করতেন। কবে রমজান মাসের চাঁদ উঠবে এবং রমজানের অপেক্ষা তাকতেন। রমজান মাস অনেক বরকতময় ও ফজিলত পূর্ণ মাস।

পবিত্র রমজান মাসের রোজা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

যারা রহমতের মাস রমজানের নতুন চাঁদ দেখবেন; তারা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পড়া সেই দোয়াটি পড়বেন। যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা রয়েছে।

নিচে চাঁদ দেখার দোয়া দেওয়া হলো:

হাদিসে এসেছে— তালহা বিন উবাইদুল্লাহ্ (রা.) বর্ণনা করেন যে, নবি কারিম (সা.) যখন নতুন চাঁদ দেখতেন; তখন তিনি বলতেন এই দোয়া পড়তেন,

اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله

উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।

অর্থ: আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৯; মুসলিম, হাদিস : ১০৮১)

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তারা তোমার নিকট নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে? বলে দাও এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজের সময় ঠিক করার মাধ্যম।’ -সূরা বকারা: ১৮৯

আমরা জানতে পারলাম যে রমজান মাস হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত পূর্ণ মাস। এই মাসে কোরআন শরিফ নাজিল হয়েছে। এই মাসে রোজা রাখলে ৭০ গুন বেশি সোয়াব পাওয়া যায়। আর আমরা এই রমজানের চাঁদ দেখলে এই দোয়াটা পড়তে হয়, অনেক অনেক নেকি লাভ করা যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *