রোজা থাকা অবস্থায় বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়

 রোজা থাকা অবস্থায় বমি করলে রোজা ভেঙে যায় না। রোজা ভাঙের কারন গুলোর মধ্যে এটি নেই তাই রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

কিন্ত ইচ্ছে করে কেউ বমি করলে রোজা ভেঙে যাবে। অথাবা বমি আবার গিলে পেললে রোজা ভেঙেযাবে। এর জন্য কাজা রোজা বা কাফফারা প্রয়োজন হবে না।

রোজার ভেঙের কারন গুলোর মধ্যে আছে কোন কিছু খাওয়া বা পান করলে রোজা ভেঙে যাবে,  আর বমি করলে এর বিপরীত কাজ যেহেতু হচ্ছে তাই রোজার কোন ক্ষতি/ ভেঙে না।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তাকে সে রোজা কাজা করতে হবে না (অর্থাৎ তার রোজা ভাঙবে না)। আর যে ইচ্ছাকৃত বমি করবে, সে যেন রোজার কাজা করে। (তিরমিজি, হাদিস : ৭২০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৬/১৮০; আল বাহরুর রায়েক : ২/২৪৭)

ইচ্ছেকৃত বমি করা হলো- মুখে আঙ্গুল দিয়ে কোনো পদ্ধতিতে ইচ্ছেকৃত মুখভরে বমি করা; এতে রোজা ভেঙে যাবে। অনিচ্ছায় হলে বা ইচ্ছেকৃত মুখভরে না হলে রোজা ভাঙবে না। (ফাতাওয়া হিন্দিয়্যা, খণ্ড : ০১, পৃষ্ঠা : ২০৪; রাদ্দুল মুহতার, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৪২১)

 কোরআন-হাদিসে রোজা ভঙ্গের কিছু কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কারণগুলো হলো: সহবাস (স্বামী-স্ত্রীর মিলন), হস্তমৈথুন, পানাহার, যা কিছু পানাহারের স্থলাভিষিক্ত, শিঙ্গা লাগানো কিংবা এ-জাতীয় অন্য কোনো কারণে রক্ত বের করা, ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা ও মহিলাদের হায়েজ ও নিফাসের রক্ত বের হওয়া।

এই হাদিস গুলো পড়লে আমরা বুঝতে পারলাম যে, বমি  করলে রোজার কোন কিছু ক্ষতি হয় না, ভেঙেনা  রোজা। ইচ্ছে করে কেউ এগুলো করলে রোজা ভেঙে যাবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *